লালখান বাজারে বস্তায় পাওয়া লাশের হত্যাকারী গ্রেপ্তার!

স্টাফ রিপোর্টার : চট্টগ্রাম নগরীর লালখান বাজার এলাকায় এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নিচ থেকে বস্তাবন্দি অবস্থায় উদ্ধার হওয়া নারীর মরদেহের রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। এ ঘটনায় নয়ন বড়ুয়া (২৯) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে।

সোমবার (২৪ মার্চ) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে পিবিআই জানায়, হত্যার পর মরদেহ গুম করতেই কম্বল পেঁচিয়ে বস্তাবন্দি করে ফেলে রেখে যান অভিযুক্ত। রোববার (২৩ মার্চ) বিকেল ৫টার দিকে চান্দগাঁও থানার মোহরা এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে পিবিআই। এর আগে, শনিবার (২২ মার্চ) বিকেলে লালখানবাজার ফ্লাইওভারের নিচ থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে খুলশী থানা পুলিশ।
গ্রেফতার নয়ন বড়ুয়া রাউজান পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম গহিরা এলাকার জয় কুমার বাড়ির মৃত মিলন বড়ুয়ার ছেলে। তিনি কেডিএস গার্মেন্টসের সুপারভাইজার পদে কর্মরত ছিলেন এবং দুই সন্তানের জনক।
পিবিআই জানায়, নিহত নারী জোৎস্না বেগম (৩৫) একজন পোশাক শ্রমিক ছিলেন। ঘটনার পর তার বড় বোন তৈয়বা বেগম খুলশী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলার তথ্য অনুযায়ী, ভিকটিম ও আসামি দুজনেই কেডিএস গার্মেন্টসে চাকরি করতেন। সেখানেই তাদের পরিচয় ও প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরে ফেব্রুয়ারিতে তারা নগরের ইপিজেড থানার বন্দরটিলা এলাকায় স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে একটি বাসা ভাড়া নেন। তবে, জোৎস্না বেগম নয়ন বড়ুয়াকে ধর্মান্তরিত হয়ে বিয়ে করতে বললে তিনি তাতে অস্বীকৃতি জানান। এ নিয়ে গত শনিবার (২২ মার্চ) সকাল ৭টা ৫০ মিনিটের দিকে তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে নয়ন বড়ুয়া জোৎস্নার গলা টিপে হত্যা করেন।
হত্যার পর নয়ন বড়ুয়া মরদেহটি কম্বল পেঁচিয়ে দড়ি ও ওড়না দিয়ে বেঁধে প্লাস্টিকের বস্তায় ভরে রিকশা ও অটোরিকশায় করে লালখানবাজার এলাকায় নিয়ে যান। পরে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নিচে ফেলে রেখে পালিয়ে যান।
পিবিআই জানিয়েছে, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামি হত্যার দায় স্বীকার করেছেন। এ ঘটনায় মামলার তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।