আশ্রিতাকে ধর্ষণচেষ্টার কারণেই খুন হন হাবিবুল্লাহ বাহার কলেজের সাবেক উপাধ্যক্ষ মোহাম্মদ সাইফুর রহমান ভূঁইয়া।
বুধবার (১২ মার্চ) সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন ডিএমপির উত্তরা জোনের ডিসি মো.মুহিদুল ইসলাম।
তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় অভিযুক্ত নাজেম ও রূপা দম্পতিকে ফরিদপুর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ৪ দিন আগে রেল স্টেশনে পরিচয়ে সূত্র ধরে সাইফুর রহমান নিজ বাসায় আশ্রয় দেন ওই দম্পতিকে। এরপর থেকে বিভিন্ন সময়ে রূপকে যৌন নিপীড়ন করতেন। দিয়েছেন তার স্বামীকে হত্যার হুমকিও।
ডিসি মো.মুহিদুল জানান, গত ৯ মার্চ রাতে ঘুমের সময় রূপার কাছে গেলে টের পেয়ে যান স্বামী নাজেম। এরপরেই সাইফুলের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয় তাদের। এক পর্যায়ে রূপা এবং নাজেম দম্পতি সাইফুর রহমানকে বটি দিয়ে কুপিয়ে জখম করে বাথরুমে আটকে রেখে পালিয়ে যায়। এরপর হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। এ ঘটনায় হত্যা মামলা করে নিহতের ছোট ভাই।
তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ঘটনার তিন–চারদিন আগে রেলস্টেশন থেকে ওই দম্পতিকে এনে নিজের বাসায় আশ্রয় দেন সাইফুর রহমান। তারা নীলফামারী থেকে ট্রেনে ভোরে ঢাকার কমলাপুর স্টেশনের আট নম্বর প্ল্যাটফর্মে নামেন। এরপর নাসিম স্ত্রীকে স্টেশনে রেখে নাস্তা কিনতে গেলে ঘুমিয়ে পড়েন রূপা। ঘুম থেকে উঠে দেখেন, সঙ্গের জিনিসপত্র কেউ নিয়ে গেছে। তখন তিনি কান্নাকাটি শুরু করেন। ওই সময় সেখান দিয়ে যাচ্ছিলেন সাইফুর। তিনি কান্নার কারণ জানতে চান। সব শোনার পর তিনি দুজনকে কাজ দেওয়ার কথা বলে বাসায় নিয়ে আসেন। সেখানে কার্যত তাদের বন্দি করে রাখা হয়। তিনি বাসার বাইরে গেলে বাসার দরজায় তালা ঝুলিয়ে যেতেন। রূপা পুলিশকে জানায়, বাসায় শিক্ষকের পরিবারকে না পেয়ে প্রশ্ন করেন কিন্তু তখন সাইফুর জানান, তার পরিবারের সদস্যরা বাইরে আছেন। তবে কয়েকদিনেও তারা বাসায় না আসায় স্বামী–স্ত্রীর সন্দেহ হয়। দম্পতি জানান, মাঝেমধ্যে নাসিমের সামনেই রূপার শরীরের বিভিন্ন অংশ বাজেভাবে হাত দিতেন সাইফুর। এ নিয়ে ক্ষোভের মধ্যেই ঘটনার দিন ধর্ষণচেষ্টার ঘটনা ঘটে। গ্রেপ্তার দম্পতি সাইফুরকে কুপিয়ে ফেলে যাওয়ার সময় তার মোবাইল ফোন ও বাসার সব চাবি সঙ্গে নিয়ে যায় বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।
