মাওলানা রইস উদ্দিনের নির্মম হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে চট্টগ্রামের চন্দনাইশে কফিন মিছিল

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রসেনার সাবেক কেন্দ্রীয় সদস্য ও ঢাকা নগর শাখার সাবেক সভাপতি মাওলানা রইস উদ্দিনের নির্মম হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে চট্টগ্রামের চন্দনাইশে কফিন মিছিল বের করা হয়েছে। এসময় নেতাকর্মীরা গাছবাড়িয়া খাঁনহাটে মহাসড়কের ওপর শুয়ে পড়েন। এতে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের দুই পাশে যানজট সৃষ্টি হয়।

বুধবার (৩০ এপ্রিল) বিকেলে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে ‘ছাত্রসেনা, যুবসেনা, ফ্রন্ট ও আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত বৃহত্তর চন্দনাইশ উপজেলা’র উদ্যোগে এ কফিন মিছিল ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এর আগে, চন্দনাইশ গাছবাড়িয়া নিত্যানন্দ গৌরচন্দ্র সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয় সামনে মানববন্ধন করেন তারা।

উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা মুহাম্মদ সোলাইমান ফারুকীর সভাপতিত্বে এবং বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রসেনা চন্দনাইশ পৌরসভার সভাপতি মুহাম্মদ মিজানুর রহমানের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় প্রচার সচিব মাস্টার মুহাম্মদ আবুল হোসেন, প্রচার উপ-কমিটির সদস্য মাওলানা মুহাম্মদ এনাম রেজা কাদেরী, মুহাম্মদ আলমগীর ইসলাম বঈদী, মুহাম্মদ ফয়েজ উল্লাহ খতিবী, মাওলানা মুহাম্মদ আবু তালেব, মুহাম্মদ সরওয়ার হোসেন, মুহাম্মদ শহিদুল ইসলাম, মুহাম্মদ হাসান মুরাদ, হাফেজ মুহাম্মদ ওসমান রেজা, মুহাম্মদ সেকান্দর হোসেন, মুহাম্মদ এনামুল হক এনাম, মুহাম্মদ শাহাদাত হোসেন চৌধুরী, আবরারুল ইসলাম আবিদ, আবদুন নবী, কাজী মুহাম্মদ সাঈদ হোসেন, মুহাম্মদ তোহিদুল ইসলাম প্রমুখ।

এ সময় বক্তারা বলেন, এ বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ড সুন্নী জনতার হৃদয়ে গভীর ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে। রাষ্ট্রকে এ ঘটনায় কঠোর অবস্থান নিতে হবে। এ সময় শহীদ মাওলানা রইস উদ্দিন হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা এবং হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান বক্তারা।

সমাবেশ শেষে রইস উদ্দিনের রুহের মাগফিরাত কামনায় বিশেষ দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

উল্লেখ্য, শনিবার (২৬ এপ্রিল) বাংলাদেশ আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানিয়ে ‘ম্যাস গেদারিং ফর ফিলিস্তিন’ কর্মসূচির ডাক দেয়। ঢাকায় অনুষ্ঠিত সুন্নিদের এ সমাবেশে মাওলানা রইস বিপুল সংখ্যক মানুষ নিয়ে যোগ দেন। এর পরদিন রবিবার সকালে গাজীপুরে ‘বলাৎকারের’ অভিযোগে রইস উদ্দিনকে প্রকাশ্যে ব্যাপক মারধর করে কিছু মানুষ। পরে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে আদালতের মাধ্যমে গাজীপুর জেলা কারাগারে পাঠায়। রাত ৩টার দিকে তিনি কারাগারে অসুস্থ হয়ে পড়লে শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহত রইস উদ্দিন (৩৫) চাঁদপুরের মতলব থানার বাদশা মিয়ার ছেলে। তিনি গাজীপুরের হায়দরাবাদ আখলাদুল জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব ছিলেন।