বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনের পরিচালক (যুগ্মসচিব) নুর ই আলম ডিসেম্বরের মধ্যে পারকি সমুদ্র সৈকতে নির্মাণাধীন পর্যটন কমপ্লেক্সের নির্মাণ কাজ শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন।
মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) সকাল সাড়ে এগারোটার দিকে আনোয়ারার পারকি সমুদ্র সৈকতে নির্মাণাধীন পর্যটন কমপ্লেক্স পরিদর্শনে এসে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল আলিম, ম্যানেজের মো. নজরুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
তিনি বলেন, এই প্রকল্পে বাস্তবায়নে বিভিন্ন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কর্মরত রয়েছে। তার মধ্যে কয়েকটি প্রতিষ্ঠান তাদের কাজ শেষ করলেও দেশলিংকের কাজের ধীর গতির কারণে তাদের কাজ শেষ হয়নি। ভবিষ্যতেও এই প্রকল্পে আরো বেশ কিছু কাজের টেন্ডার হবে। তখন ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানগুলোর অতীতের কাজের অভিজ্ঞতাকে গুরুত্ব দেওয়া হবে।
কাজের ধীরগতি নিয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান দেশলিংকের একাউন্স ম্যানোজার বাবলু বলেন, আমার জানা মতে মেয়াদ শেষ হওয়ার পর দেশলিংক পর্যটন কমপ্লেক্সের কাজ করতে চাইনি। কর্তৃপক্ষের অনুরোধে আমরা কাজ করছি। এই প্রজেক্টে দেশলিংক লোকসানে থাকবে তবুও বিভিন্ন আশ্বাসে পর্যটন কমপ্লেক্স আমাদের কাজ করতে বলছে। আর কাজের ধীরগতি মূলত কর্তৃপক্ষের গাফলতির কারণে হয়েছে।
পর্যটন কমপ্লেক্সের কাজের সার্বিক বিষয় নিয়ে সাইট ইঞ্জিনিয়ার প্রকৌশলী অসীম শীল বলেন, কিছুদিন কাজ বন্ধ ছিলো আবারও কাজ শুরু হয়েছে। প্ল্যান অনুযায়ী কাজ করলে আগামী ডিসেম্বরে কাজ শেষ হওয়া সম্ভব।
উল্লেখ্য যে, পারকি সমুদ্রসৈকত আধুনিকায়নের লক্ষ্যে ২০১৮ সালে ১৩ দশমিক ৩৬ একর জমিতে ৬২ কোটি টাকা বরাদ্দ নিয়ে শুরু হয় অত্যাধুনিক বিশ্বমানের পর্যটন কমপ্লেক্স নির্মাণকাজ। প্রকল্প বাস্তবায়নের মেয়াদ দিল দুই বছর। ২০২০ সালের নভেম্বরে মেয়াদ শেষ হয়ে গেলেও তিনটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান যৌথভাবে ২০ শতাংশ কাজও শেষ করতে পারেনি। ফলে দ্বিতীয় দফায় নির্মাণকাজের মেয়াদ বাড়ানো
হয় ২০২১ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত। আর বরাদ্দ বেড়ে দাঁড়ায় ৭১ কোটি ২৫ লাখ টাকায়। কিন্তু মেয়াদ ও বরাদ্দ দুইটি বাড়িয়েও কাজের ধীরগতির কারণে ২০২৫ সাল পর্যন্ত কাজ শেষ করতে না পারায় পুনরায় চলতি বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত কাজের মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন করে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্তৃপক্ষ।