সমন্বয়কদের কমিটি নিয়ে বিরোধ, চট্টগ্রামে প্রায় সাড়ে ৭ ঘণ্টা রাস্তায় অবস্থান

স্টাফ রিপোর্টার : কমিটি নিয়ে দলাদলির জের ধরে প্রায় সাড়ে ৭ ঘণ্টা অবস্থানের পর চট্টগ্রাম নগরের ব্যস্ততম লালখান বাজার সড়ক ছেড়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একাংশ।

মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯টার দিকে কেন্দ্রীয় নেতাদের ২৪ ঘণ্টা আল্টিমেটাম দিয়ে তারা সড়ক ছেড়ে যান। এর আগে দুপুর দেড়টায় প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনের কিছুসময় পরেই কমিটি বাতিলের আল্টিমেটাম দিয়ে সড়কে অবস্থান নেন কমিটিতে নাখোশ হওয়া একটি অংশ। এরপর থেকেই লালখান বাজার ও এর আশপাশের সড়কে যানজট সৃষ্টি হতে শুরু করে। একপর্যায়ে তা নগরজুড়ে ছড়িয়ে যায়। এতে চরম বিড়ম্বনায় পড়েন কর্মজীবী মানুষ।
এদিকে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ ও জুলাই গণহত্যার বিচার দাবিতে নগরের দুই নম্বর গেট বিপ্লব উদ্যান থেকে লালখানবাজারমুখী আরেকটি গণপদযাত্রা বের হয়। নবগঠিত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণের ব্যানারে পদযাত্রাটি ওয়াসা মোড় পর্যন্ত এলে পুলিশ তাদের ঘুরিয়ে দেয়। পরে পদযাত্রাটি কাজীর দেউড়ি মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।
অনেকেরই কর্মস্থল থেকে বাসায় ফিরতে বা গন্তব্যে যেতে ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে। রাস্তায় বেরিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজটে আটকে থাকতে হয়েছে। অনেকেই বাধ্য হয়ে এ সময় হেঁটে গন্তব্যের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন।
সমন্বয়ক জুবায়ের মানিক বলেন, ‘কমিটিতে অবমূল্যায়ন করার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছিলাম, তখন আমরা তিনটা পর্যন্ত সময় দিয়েছিলাম। যাতে তাৎক্ষণিক কমিটি বাতিল করা হয়। কিন্তু আমরা কেন্দ্রীয় নির্বাহীদের সঙ্গে কথা বলে জানতে পেরেছি, তারা সবাই একমত যে কমিটিতে বৈষম্য হয়েছে। কিন্তু তাদের মধ্যে এটাও জানতে পেরেছি— হাসনাত আব্দুল্লাহ তাঁর জায়গায় অনড় রয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন এ কমিটি থাকবে। তাই আমরা স্পষ্টভাবে বলতে পারি— লীগ, কিশোর গ্যাংয়ের যে পুনর্বাসন, নারী হেনস্তায় অভিযুক্তদের নিয়ে কমিটি হয়েছে তাই এখানে সরাসরি হাসনাত আব্দুল্লাহ জড়িত।’
এর আগে, বেলা ১২টার দিকে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চট্টগ্রামের একাংশ সংবাদ সম্মেলনে করেন। সেখানে তারা জানিয়েছিলেন, তাদের তিন দফা দাবি মানতে হবে। এরমধ্যে প্রথম দাবি নতুন কমিটি বাতিল করা।