নিজস্ব প্রতিবেদক : বিভাগীয় কমিশনার ড. মোঃ জিয়াউদ্দীন বলেন, ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন এবং ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে যারা অংশ গ্রহণ করেছিল সবাই সময়ের প্রয়োজনে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল।
নগরীর সার্কিট হাউস প্রাঙ্গণে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস ২০২৫ উপলক্ষে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহিদ পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা এবং ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম এর সভাপতিত্বে এবং সহকারী কমিশনার (ভূমি) চান্দগাঁও সার্কেল মোঃ ইউসুফ হাসানের সঞ্চালনায়, পুলিশ কমিশনার হাসিব আজিজ, ডিআইজি মোঃ আহসান হাবীব পলাশ, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (রাজস্ব) মোহাম্মদ নূরুল্লাহ নূরী, পুলিশ সুপার মোঃ সাইফুল ইসলাম সানতু, বীর মুক্তিযোদ্ধা ব্রিগেডিয়ার শহীদুল আলম, কামাল উদ্দিন ও ফজল বারিক বক্তৃতা করেন। এসময় অসংখ্য
মুক্তিযোদ্ধা ও তাঁদের পরিবারের সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
বুধবার চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ৪০৩ জন মুক্তিযোদ্ধাকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।
বিভাগীয় কমিশনার বলেন, কারো কণ্ঠকে রোধ করে কিংবা একটি কথাকে সবার উপর চাপিয়ে দেয়া বা কারো মতামতকে অগ্রাহ্য করলে দেশে আবারো ফ্যাসিবাদের সৃষ্টি হবে। সবার কথা শুনতে হবে, যার যুক্তি গ্রহণযোগ্য হবে না তাকে যুক্তি দিয়ে খ-ন করতে হবে। মুক্তিযোদ্ধাদের অকুতোভয় সাহসকে মনে সঞ্চার করে আগামীর সুন্দর, সমৃদ্ধ ও বৈষম্যহীন নতুন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।
জেলা প্রশাসক বলেন, চট্টগ্রাম মুক্তিযুদ্ধের সময় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। এখান থেকেই স্বাধীনতার ঘোষণা হয়েছে এবং চট্টগ্রাম ও রাজারবাগ পুলিশলাইনেই হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রথম প্রতিরোধ গড়ে উঠে।