ছোট সাজ্জাদের গডফাদারদেরও আইনের আওতায় আনা হবে : সিএমপি কমিশনার

চট্টগ্রামের অস্ত্রধারী শীর্ষ সন্ত্রাসী ছোট সাজ্জাদকে ঢাকা থেকে গ্রেফতার

রোববার (১৬ মার্চ) সিএমপি’র কার্যালয়ের মিডিয়া সেন্টারে ছোট সাজ্জাদ কে গ্রেফতারের বিষয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত তুলে ধরেন সিএমপি কমিশনার হাসিব আজিজ। তিনি জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে একটি বিশেষ টিম শনিবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে সাদা পোশাকে ঢাকা বসুন্ধরা সিটি শপিং কমেপ্লেক্স এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে চট্টগ্রামের অস্ত্রধারী শীর্ষ সন্ত্রাসী ছোট সাজ্জাদ ওরফে বুড়ির নাতি সাজ্জাদ (২৭) কে গ্রেফতার করে। এই সময় সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন উপ-পুলিশ কমিশনার (উত্তর) আমিরুল ইসলাম, অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, বায়েজিদ বোস্তামী থানার ওসি আরিফুর রহমান সহ সিএমপি’র ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও অভিযানে অংশনেওয়া অফিসারবৃন্দ ।

সিএমপি কমিশনার আরো জানান, গত বছরের ৫ ডিসেম্বরে নগরের অক্সিজেন মোড় এলাকায় ছোট সাজ্জাদকে ধরতে অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মোঃ জাহাঙ্গীর এর নেতৃত্বে বায়েজিদ বোস্তামী থানা পুলিশ, পাঁচলাইশ থানা পুলিশ ও চান্দগাঁও থানা পুলিশ যৌথ অভিযান পরিচালনা করলে সে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়তে ছুঁড়তে পালিয়ে যায়। এসময় তার গুলিতে পুলিশের দুই সদস্যসহ মোট চার জন গুলিবিদ্ধ হন।
উল্লেখ্য যে, গত ৩০ শে জানুয়ারি উক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী সাজ্জাদকে গ্রেফতারের লক্ষ্যে সিএমপি কমিশনার অর্থ পুরস্কারের ঘোষণা করেছিলেন।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে জানান, আরেক শীর্ষ সন্ত্রাসী ও হত্যা মামলার আসামী বড় সাজ্জাদ এর সেকেন্ড ইন কমান্ড হিসেবে চট্টগ্রামের অপরাধ জগৎ নিয়ন্ত্রন করে। সে চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকায় বিল্ডিং নির্মান ও ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের মালিকদের কাছ থেকে বিপুল অংকের চাঁদা দাবি করে, কেউ চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে তাদের বাড়িতে এবং ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানে গিয়ে আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করে গুলি ছুঁড়ে এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করে। এ ধরণের অনেক গুলো ভিডিও সামজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। সম্প্রতি আগে সে ফেইসবুক লাইভে এসে বায়েজিদ বোস্তামী থানার ওসিকে হত্যার হুমকী দেয় এবং সে বায়েজিদ থানার আলোচিত ডবল মার্ডার মামলার প্রধান আসামী। তার বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম মহানগর ও চট্টগ্রাম জেলার বিভিন্ন থানায় হত্যা, ছিনতাই, চাঁদাবাজি ও অস্ত্র সংক্রান্ত মোট ১৫ (পনের) টি মামলা রয়েছে। তাকে আদালতে সোপর্দ করে রিমান্ড আবেদন করা হবে এবং পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।