‘ঘরে চাল নেই, ঈদের বাজার করবো কোথা থেকে’

‘ঘরে চাল নেই, ঈদের বাজার করবো কোথা থেকে!’ এমন হৃদয়বিদারক কথা বলে দূঃখ প্রকাশ করেছেন ষাটোর্ধ্ব বয়সের মিনা বেগম। দুই মেয়ে এবং দুই ছেলে থাকা স্বত্তেও বড় মেয়ে ছাড়া তার ঠাই মেলেনি কারও কাছে। এখন বড় মেয়ে শিলা আক্তারই তার একমাত্র ভরসা।

মিনা বেগমের স্বামী মো. সালাম মারা গিয়েছেন করোনারও অনেক আগে। পরিবারের দারিদ্রতার কারণে রাজধানীর তালতলা মার্কেটের সামনে বাচ্চাদের জুতা বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করছেন তিনি।

মিনা বেগম থাকেন রাজধানীর চিটাগাং রোডে। ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে চাইলেও সে সামর্থ্য আর হয়ে উঠেনি তার। চোখে মুখে ফুটে উঠেছে চিন্তার ভাজ। বিষন্ন চেহারায় তাকিয়ে আছেন ক্রেতাদের দিকে। জুতা বিক্রির টাকা দিয়ে ঘরের জন্য নিয়ে যাবেন চাল।

তার চেহারের দিকে তাকালেই মনে হয়, কত-শত কষ্ট জমিয়ে রেখেছে মনে। শেষ বয়সে এসে আরাম আয়েশে থাকার কথা থাকলেও সেই ভাগ্যটুকু হয়নি তার।

মিনা বেগম বার্তা ২৪. কমের প্রতিবেদককে বলেন, ‘আমার স্বামী মারা যাওয়ার পর থেকেই দারিদ্র্যতা আমার পিছু নিয়েছে। আমার দুই ছেলে এবং দুই মেয়ে আছে। সবাইকে বিয়েও দিয়েছি। ছেলেদেরও তেমন সামর্থ্য নেই। তারাও গরিব। সেজন্য আমি বড় মেয়ের সাথে থাকি। আমরা সবাই চিটাগাং রোডে জুতা বিক্রি করতাম। কিন্তু, পুলিশও আমাদেরকে সেখান থেকে উঠিয়ে দিয়েছে। অভাব অনটনে দিন যাচ্ছে আমাদের।’

তিনি আরও বলেন, ‘আর দুই তিনদিন পর ঈদ। কিন্তু ঘরে চাল নেই, ঈদের বাজার করবো কিভাবে! এই অভাব-অনটনের সংসার আর ভালো লাগে না। আমার বড় মেয়েকে সাহায্য করার জন্যই আমি জুতা বিক্রি করছি। আমার নাতি-নাতনী মোট দশ জন। তাদেরকেও সালামি দিতে হবে। কোথা থেকে দিবো, কি করবো কিছুই বুঝতে পারছি না।’